ভোলা প্রতিনিধি ॥ ভোলায় প্রথম দফায় ১৫ পেশার ৩৭ হাজার ৭ জন ব্যক্তি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের সুযোগ পাচ্ছেন। মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এক বৈঠকে এমন তথ্য জানান সিভিল সার্জন ডা. রেজাউল ইসলাম। বৈঠক জানানো হয়, বুধবার ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনকার করোনা ভ্যাকসিন পৌঁছবে। ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এসব টিকা সংরক্ষণে সদর হাসপাতালের ওয়াকইনকুলার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুই সপ্তাহের মধ্যে করোনার এই ভ্যাকসিন টিকা চিহ্নিত ব্যক্তিদের দেয়া হবে। জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভিজ্ঞ নার্সরা এ টিকা প্রদান করবেন। ওই বৈঠকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, টিকা প্রদানের জন্য আটজন প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী প্রস্তুত রয়েছেন। প্রতিটি কেন্দ্রে দুইজন স্বাস্থ্যকর্মী ও চারজন ভলান্টিয়ার কাজ করবেন। পর্যায়ক্রমে সবাইকে এই টিকার আওতায় আনা হবে। এছাড়া ভ্যাকসিনের ব্যাপারে যারা গুজব ছড়াবে তাদের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক। জেলায় প্রথম দফায় ৩৭ হাজার সাত ডোজ টিকার আওতায় আসবেন ৩৭ হাজার সাত ব্যক্তি। সদর উপজেলায় ১১ হাজার ১৬০ জন, দৌলতখানে তিন হাজার ৭২৮, বোরহানউদ্দিনে চার হাজার ৩৫২, লালমোহনে তিন হাজার ৮২১, তজুমদ্দিনে দুই হাজার ৭৭০, চরফ্যাশনে আট হাজার ৯৯৯ ও মনপুরায় দুই হাজার ১৭৭ জন। প্রথম ডোজ নেয়ার দুই মাস পর দ্বিতীয় ডোজ পাবেন ওই ব্যক্তিরা। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকের সভাপতিত্বে বৈঠকে বিভিন্ন ইস্যুতে বক্তব্য রাখেন- জেলা সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ রেজাউল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুজিত কুমার হালদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহসিন আল ফারুক, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোশারেফ হোসেন, ভোলা প্রেস ক্লাব সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এম হাবিবুর রহমান, জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, প্রেস ক্লাব সম্পাদক অমিতাভ অপু, কোস্টট্রাস্ট প্রতিনিধি রাশেদা বেগম প্রমুখ।
Leave a Reply